মাতৃত্বকালীন ভাতা পাবেন শহরের দরিদ্র কর্মজীবীরা। যাদের মাসিক আয় ৫ হাজার টাকার কম এবং অনুর্ধ্ব দুই সন্তানের মাতা কেবল তারাই পাবেন এ ভাতা। প্রতিমাসে ৩৫০ টাকা করে দুই বছর পর্যন্ত এ ভাতা দেয়া হবে। ২০১০-১১ অর্থবছরে এ ভাতার জন্য ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে এ কথা জানা গেছে।
রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন গার্মেন্ট এলাকা এবং শহরের অসংখ্য হতদরিদ্র বিশেষ করে বস্তিতে গর্ভবর্তী মহিলারা রয়েছেন। অতিকষ্টে জীবযাপন করছেন হাজারো শিশুর দরিদ্র মা। তারা অর্থের অভাবে তিন বেলা ভাতই খেতে পারেন না। এসব কর্মজীবী মায়েদের মাসিক আয় ৫ হাজার টাকার কম। এদের জন্য সরকার মাতৃত্বকালীন ভাতার ব্যবস্থা করতে চলছে।
২০১০-১১ অর্থবছরে সরকার ওইসব মা এবং গর্ভবর্তীদের জন্য ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে; যা সম্পূর্ণ রাজস্ব খাত থেকে দেয়া হবে। একজন মা প্রতিমাসে ওই টাকা থেকে ৩৫০ টাকা পাবেন। যিনি কেবল দুই সন্তানের মা তিনিই পাবেন এ ভাতা। তৃতীয় সন্তানের ক্ষেত্রে এ ভাতা দেয়া হবে না। ২০০৯-১০ অর্থবছরে চার হাজারেরও অধিক ইউনিয়ন পরিষদকে এ কর্মসূচী (মাতৃত্বকালীন ভাতা) আওতায় আনা হবে। প্রতি ইউনিয়নে ১৭ জন করে প্রায় ৮০ হাজার মহিলাকে মাতৃত্বকালীন ভাতা দেয়া হয়। আর ২০১০-১১ অর্থবছরে গ্রামীণ এলাকায় এর আওতা বাড়িয়ে ৮৮ হাজার জনকে মাতৃত্বকালীন ভাতা দেয়া হচ্ছে।
বর্তমান সরকারের তিন বছরের সাফল্যজনক কার্যক্রমের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রয়াস কর্মসূচির আওতায় পরিচালিত ধানমন্ডিস্থ রাপা প্লাজার ৪র্থ ও ৫ম তলায় স্থাপিত ‘জয়িতা’বিপণন কেন্দ্র । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিগত ১৬-১১-২০১১ তারিখ হোটেল রূপসী বাংলা থেকে তৃণমূল পর্যায়ের নারী উদ্যোক্তাদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জয়িতার কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন এবং জয়িতার লগো উন্মোমচন করেন।
পটভুমিঃ মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতায় সারা দেশে তৃণমূল পর্যায়ে ১৬০০০ এর অধিক নিবন্ধিত স্বেচছাসেবী মহিলা সমিতি রয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ের এ সকল সমিতির সদস্যদের মধ্যে অসংখ্য ছোট ছোট নারী উদ্যোক্তা রয়েছে। পর্যাপ্ত ও অনুকুল নারী বান্ধব অবকাঠামো না থাকার কারণে তৃণমূল পর্যায়ের ছোট ছোট নারী উদ্যোক্তাগণ তাদের সমিতির সদস্যদের উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী বাজারজাতকরণে কার্যকর কোন ভূমিকা রাখতে পারতেন না। এ সমসত্ম নারী উদ্যোক্তাগণ তাদের পন্য বা সেবা বিপণনে যথেষ্ট অভিজ্ঞ নন। ছোট ছোট নারী উদ্যোক্তাদেরকে তাদের উৎপাদিত পন্য বা সেবা বাজারজাতকরনের জন্য মধ্যস্বত্ত্ব ভোগীদের উপর নির্ভর করতে হয়। ফলে নারী উদ্যোক্তারা পূর্ণাঙ্গ সুফল ভোগ করতে পারতেন না এবং উদ্যোগগুলি টেকসই হত না।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য ও সেবা বিপণন এবং বাজারজাতকরণের লক্ষ্যে জয়িতার মাধ্যমে একটি নারী উদ্যোক্তা বান্ধব আলাদা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ক্রমে সারা দেশ ব্যাপী গড়ে তোলার প্রয়াস নেয়া হয়েছে। এতে করে নারী উদ্যোক্তা উন্নয়নে গতি সঞ্চারিত হবে; নারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে; নারী ও পুরুষের বৈষম্য হ্রাস পাবে। সর্বোপরি নারীর ক্ষমতায়ন এবং পর্যায়ক্রমে দেশের দারিদ্র বিমোচন হবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস